মোঃআমিনুল ইসলাম
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন,বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।আর এর মূল কারণ হিসেবে যে বিষয়টি দৃশ্যমান তা হোলো অব্যবস্থাপনা।
একসময়ের বৃহত্তর ডেমরা, ও মাতুয়াইল ইউনিয়ন এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। নামমাত্র সিটি ক্যাটাগরিতে পরলেও এখনো উন্নয়ন বঞ্চিত ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মধ্যে পরে আছে এ সম্ভাবনাময়ী এলাকাটি।
নগর পরিকল্পনাবিদ ড.আক্তার হোসেন বলছেন।প্রতিনিয়ত ঢাকা শহরে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।সে তূলনায়
নিত্যনতুন বাড়ীঘর উঠবে এটা স্বাভাবিক। তবে বসবাসযোগ্য অঞ্চল হিসেবে একটি অঞ্চলকে গড়ে তুলতে হলে সঠিক পরিকল্পনা অতীব জরুরি। সেক্ষেত্রে ডেমরাকে নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতে পারলে বসবাসে যোগ্য হবে।৬৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কদমতলা চৌরাস্তার পাশ্ববর্তী মুসলিমনগরের বাসিন্দা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মুহাম্মদ হযরত আলী জানান,এখন থেকে প্রায় ২০ বছর আগে তিনি এখানে বাড়ী করেছেন।তখন আশেপাশের অধিকাংশ জায়গাই ছিলো খালি।সময়ের ব্যবধানে এখানে আবাসিক এলাকা,ব্যবসায়িক কেন্দ্র বিশেষ করে প্রিন্টিং প্রেস,জুতার কারখান,সহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী রাস্তাঘাট হয়নি,এমনকি কোনাপাড়া থেকে নিমতলা ও কদমতলা চৌরাস্তা হয়ে মাতুয়াইল মেডিকেল পর্যন্ত মূল সড়কটি খানাখন্দভরা। ”
বাস্তব চিত্র ঠিক এমনই।একটু বর্ষা হলেই এখনো তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট।এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলানো,সঠিক সময়ে বর্জ্য অপসারণ না হওয়া,ড্রেনে ময়লা বর্জ্য পরে ড্রেন ভরে যাওয়ার ফলে জমে থাকা পঁচা পানি থেকে সৃষ্ট মশা।
আর মশার কারণে ডেঙ্গু, ম্যালিরিয়া সহ নানান মশা বাহিত রোগ-জীবাণুর আক্রমণ লেগেই থাকে এখানে।কোনাপাড়া মেডিকেয়ার ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে আসা পাঁচ বছরে শিশু অহনা’র বাবা রফিকুল ইসলাম বাদল এর সাথে কথা বললে জানা যায় তাদের মেয়ের ডায়েরিয়া ও জ্বর প্রায় লেগেই থাকে” তারা পাশ্ববর্তী এলাকা আদর্শবাগের বাসিন্দা।
এছাড়াও ড্রেনের মধ্যে দিয়ে ওয়াসার পানির লাইন টেনে নেয়া সহ নানা অব্যবস্থাপনায় জরাজীর্ণ এই এলাকা।অথচ আমান সিটি,শামীমবাগ হাউজিং,মাতুয়াইল নিউটাউন সহ বেশ কিছু আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে এখানে।
Leave a Reply