রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারিরা আসছেন গরু নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে কোরবানির পশুর হাট।আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটে ইতোমধ্যে বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে। ত্রিপল, কাউন্টারসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। রাজধানীর দনিয়া,শনিরআখরা,শিবু মার্কেট,সাইনবোর্ড, সারুলিয়া,কমলাপুর, শাজাহানপুর ও কেরানীগঞ্জ পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এসব হাটে এখনো আসছে গরু।ব্যাপারীরা বলছেন,কুরবানির হাটে আরো গরু আসবে।
রাজধানীর এসব হাটে বিভিন্ন দামের গরু দ্যাখা গেছে।
বড় গরুর চেয়ে মাঝারি গরুর দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা।
ক্রেতাদের ও আনাগোনা দেখা গেছে। অনেকেই দাম যাচাইয়ের জন্য এসব হাটে এসেছেন।তবে কেনাবেচা ও হচ্ছে বলে জানান কেরানীগঞ্জের পশুর হাটের ইজারাদার পক্ষের আলমগীর হোসেন,তিনি জানান
ইতিমধ্যে ২২ টি গরু বিক্রি হয়েছে।স্থানীয় হাসনাবাদের বাসিন্দা
ব্যবসায়ী আমীর হোসেন দুটি গরু ক্রয় করেছেন।
দাম পরেছে দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা।
বরাবরের তূলনায় এবছর গরুর দাম তেমন বাড়েনি বলে জানান তিনি।
হাটে হাটে ইতোমধ্যে বসেছে পুলিশের বিশেষ নজরদারি দলের পাহারা। নদীপথেও গরুর ট্রলারে ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে সক্রিয় রয়েছে নৌপুলিশ।
শনিরআখরা হাটে গরু নিয়ে আসা সিরাজগঞ্জের ব্যাপারী আজগর আলী মুন্সী জানান, আমি আটটি এবং আমাদের সাথের কয়েকজনের একাধিক করে গরু নিয়ে এসেছি হাটে। এবার গো খাদ্যের দাম বেশি গেছে। বন্যায়ও আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। গরুর দাম এবার বেশি। এবার লাভ করতে পারবো বলে আশা রাখি। তবে হয়তো তেমন ভালো লাভ নাও হতে পারে বলো আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া আরেক ব্যাপারি মামুন এসেছেন মাদারীপুর থেকে।বড় মাঝারি মিলিয়ে মোট ১৩ টি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি।
তার ১৩ টি গরুর মধ্যে বেশির ভাগের দামই বলছেন ২ লাখ টাকার উপরে।ঠিকভাবে বাজারে বিক্রি করতে পারলে তার ৭ লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম পেয়ে খুশি ক্রেতা ও ব্যাপারীরা।তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে বাজারে প্রভাব পরতে পারে বলে আশংকা সংশ্লিষ্ট সকলের।
Leave a Reply