ভৌতিক গল্পঃ এই ভৌতিক গল্পটি গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের অণুপ্রেরণায় লেখা।
এই ভৌতিক গল্পটি ঘটে যাওয়া ব্যক্তির ভাষায় লেখা হলো- আমার নাম বাহার উদ্দিন পাহলোহান।
আমার বাসা গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের আন্দিয়াপাড়া গ্রামে।
আমি একজন ব্যবসায়ী।
আমি গোয়ালকান্দি জমিদারবাড়ি সংলগ্ন বিশাল বাগানের ২টি লিচু গাছের লিচু ফল ৪২০০শত টাকায় ক্রয় করলাম।
লিচু গাছটি ক্রয় করার পর রাত্রে বেলায় লিচুতে বাঁদুড়ের ব্যাপক অত্যাচার শুরু হল।
আমি চিন্তা করলাম লিচু গাছ রাত্রেবেলায় পাহাড়া দিব।
লিচু গাছের নিচে অস্থায়ীভাবে একটি বাসা বানিয়ে লিচু গাছ পাহাড়া দিতে শুরু করলাম।
আমার পাহাড়ায় ১ম ও ২য় দিন ভালই কাটলো কিন্তু ৩য় দিনে শুরু হল মহাবিপত্রি আমি শুয়ে থেকে হাতে সিগারেট নিয়ে টানছি এই সময় হঠাৎ করে ধপাস ধপাস শব্দে লম্বা একটি হাতি ভয়ানক রুপে আসতে শুরু করলো আমার লিচু গাছের দিকে।
সেই হাতিটি তার শুড় দিয়ে লিচু গাছে আঘাত করতে শুরু করলো।
আমি হতবম্ভ হয়ে গেলাম ভয়ে কাঁপতে থাকলাম আর আল্লাহর নাম জপতে থাকলাম তারপর হঠাৎ করে হাতিটি উধাও হয়ে গেল।
এর কিছুক্ষণ পর সরাৎ সরাৎ শব্দে সাদা কাপড় পরিহিত এক বুড়ি ঝাড়ু দিতে দিতে আমার দিকে আসতে শুরু করলো আমি ভয়ে প্রায় অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা আবারো আল্লাহর নাম জপতে শুরু করলাম আর ভয়ার্ত গলাম বললাম আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দাও।
তারপরে হঠাৎ করে সাদা কাপড় পরিহিত বুড়িমা উধাও হয়ে গেল।
আমি ভয়ে ভয়ে একটার পর একটা সিগারেট ধরাচ্ছি আর টানছি আর সময় ব্যয় করছি।
এরপর ভয়ানক কন্ঠে ঘেউ ঘেউ শব্দে একটা কুকুর আমার দিকে আসতে লাগলো আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম।
কুকুরটির দিকে লক্ষ্য করতে কুকুরটি তার লাল রক্তাক্ত ২বা ৩হাত লম্বা জিহ্বা বের করলো।
আমি সেটি দেখে ভয়ে আর্তনাদ করতে করতে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পাশ দিয়ে এক দৌড়ে পাকা রাস্তায় পৌঁছে বাড়ি চলে আসলাম এই হচ্ছে আমার ঘটনা।
তথ্য সুত্রে জানা যায় গোয়ালকান্দি জমিদার শ্রী অক্ষয় কুমার এর একটি পাগলা হাতি ছিল সেই হাতিটি জমিদার পুত্রকে হত্যা করেছিল।
সেই সময় জমিদার শ্রী অক্ষয় কুমার রাগে ও ক্ষোভে হাতিটিকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
এখনো সেই হাতিটির আত্না গোয়ালকান্দি জমিদারবাড়ির আশেপাশে এখনো রাত্রেবেলায় ঘুরেবেড়ায় বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
প্রতিবেদক
আশরাফুল অন্তর
বাগমারা
Leave a Reply