>মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা
মোঃআমিনুল ইসলাম
ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
ভাষা আন্দোলনের সময় রওশন আরা বাচ্চু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার অনুপ্রেরনায় ইডেন মহিলা কলেজ এবং বাংলাবাজার বালিকা বিদ্যালয় এর ছাত্রীদের সংগঠিত করে আমতলার সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসেন। এখান থেকেই ছাত্রনেতারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন।সেদিনের সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আমাদের বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে এনে দিয়েছিল। আমার জীবনে প্রথম দ্যাখা সেই ২০১০এ, অমর দা বললেন। আজ তোমার ভাগ্যটা অনেক ভালো। কেনো দাদা?
আজ আমাদের অফিসে রওশন আরা বাচ্চু আসবেন।তিনিই অফিস উদ্বোধন করবেন।
-আমি বুঝতে পারলাম ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু আপামনি আসবেন।
আমি এর আগেও তার সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি।অমর দার মুখে।উল্লেখ্য ২০০৬ এ আমার লেখা প্রথম উপন্যাস”এখনো হৃদয় কাঁদে”- এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তার থাকার কথা ছিল।কিন্তু তার ব্যস্ততার কারনে তিনি আসতে পারেননি। দীর্ঘ ০৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছিল সেদিন।
আমি তাকে সালাম করলাম। কতটা আপন করে নিতে জানতেন সবাইকে তা বলে বোঝাতে পারবো না।সেই থেকে তার অনুপ্রেরণায় পথ চলতাম।সবসময় সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন তিনি।২০১২ এ আমাকে কথা সাহিত্যে সম্মাননা পদক দেন অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ। সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। আমি কতৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম আমি ক্রেস্ট টি ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু’র হাত থেকে নিবো।সেখানে মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাহেব ও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও আমার রুচিবোধের প্রশংসা করেছিলেন। ওপারে ভালো থাকুন আপুমনি।ভালো থাকেন অমর দা।
ভালো থাকুন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক, সহ সকল মুক্তিযোদ্ধারা।ইতিহাস চিরদিন মনে রাখবে ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু আপামনি কে। ইতিহাসের সকল মহানায়কদের।
Leave a Reply