রাজা কেশব রায়ের বাড়ি নড়াইল জেলাধীন নড়াইল পৌরসভাস্থ উজিরপুরে অবস্থিত। নড়াইল সদর থেকে প্রায় ৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত উজিরপুরে নামক গ্রাম। এ গ্রামের মাঝখান দিয়ে দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়া নড়াইল-ফুলতলা পাকা সড়ক ও পূর্ব দিকগামী উজিরপুর-পিয়ারতলা পাকা সড়কের সংযোগস্থলে লাগোয়া উত্তর-পূর্ব কোণে জঙ্গলার্কীণ এক প্রাচীন টিবি । এ প্রাচীন টিবিটি রাজা কেশব রায়ের বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এ টিবি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার উত্তর-পূর্ব পাশ দিয়ে চিত্রা নদী প্রবাহমান রয়েছে।
স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায় যে, প্রায় ৩০০ বছর আগে কেশব রায় নামক জনৈক রাজা এ বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। জানা যায় যে, ‘ভারতের পশ্চিম বঙ্গের হুগলী থেকে রাজা কেশব রায় এখানে এসে বসতি গড়ে তোলেন এবং নির্মাণ করেন রাজবাড়ি। সম্ভবত জলোচ্ছাস বা ভূমিকম্পে মাটির নিচে এ রাজবাড়ি ডেবে যায়। জানা যায় প্রায় ৩০-৩২ বছর পূর্বে মাটি খনন কালে ৭-৮ হাত মাটির নিচে পাকা দালানের ছাদ পরিদৃষ্ট হয়। জনৈক প্রকৌশলী পরীক্ষা করে বলেন যে, পাশাপাশি নয়টি কামরার অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। দেয়ালের গাঁয়ে লতা-পাতা-ফুল অংকিত সুদৃশ্য কারুকার্য রয়েছে (মিত্র, সতীশচন্দ্র, যশোর খুলনার ইতিহাস, প্রথম খন্ড,কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং, ২০১৩,পৃষ্ঠা-৬২)। বর্তমানে এ রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষের টিবি ছাড়া তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। প্রায় ২১০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট জঙ্গাকীর্ণ এ বাড়িটির উপরে কতিপয় স্থানীয় লোকজন বসতি স্থাপন করে বসবাস করে। এ বাড়িতে বিদ্যমান উচুঁ টিবিটি পার্শ্ববতী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১.৮০ মিটার উচুঁ। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ বাড়িতে ব্যবহৃত ফুল ও লতাপাতার অলংকৃত পোড়ামাটির ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আলোকচিত্র ও তথ্য সংগ্রহে মহিদুল ইসলাম, শাহিন আলম ও চাইথোয়াই মারমা । তথ্যসূত্র: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নড়াইল জেলার জরিপ প্রতিবেদন (অপ্রকাশিত)রাজা কেশব রায়ের বাড়ি
রাজা কেশব রায়ের বাড়ি নড়াইল জেলাধীন নড়াইল পৌরসভাস্থ উজিরপুরে অবস্থিত। নড়াইল সদর থেকে প্রায় ৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত উজিরপুরে নামক গ্রাম। এ গ্রামের মাঝখান দিয়ে দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়া নড়াইল-ফুলতলা পাকা সড়ক ও পূর্ব দিকগামী উজিরপুর-পিয়ারতলা পাকা সড়কের সংযোগস্থলে লাগোয়া উত্তর-পূর্ব কোণে জঙ্গলার্কীণ এক প্রাচীন টিবি । এ প্রাচীন টিবিটি রাজা কেশব রায়ের বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এ টিবি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার উত্তর-পূর্ব পাশ দিয়ে চিত্রা নদী প্রবাহমান রয়েছে।
স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায় যে, প্রায় ৩০০ বছর আগে কেশব রায় নামক জনৈক রাজা এ বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। জানা যায় যে, ‘ভারতের পশ্চিম বঙ্গের হুগলী থেকে রাজা কেশব রায় এখানে এসে বসতি গড়ে তোলেন এবং নির্মাণ করেন রাজবাড়ি। সম্ভবত জলোচ্ছাস বা ভূমিকম্পে মাটির নিচে এ রাজবাড়ি ডেবে যায়। জানা যায় প্রায় ৩০-৩২ বছর পূর্বে মাটি খনন কালে ৭-৮ হাত মাটির নিচে পাকা দালানের ছাদ পরিদৃষ্ট হয়। জনৈক প্রকৌশলী পরীক্ষা করে বলেন যে, পাশাপাশি নয়টি কামরার অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। দেয়ালের গাঁয়ে লতা-পাতা-ফুল অংকিত সুদৃশ্য কারুকার্য রয়েছে (মিত্র, সতীশচন্দ্র, যশোর খুলনার ইতিহাস, প্রথম খন্ড,কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং, ২০১৩,পৃষ্ঠা-৬২)। বর্তমানে এ রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষের টিবি ছাড়া তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। প্রায় ২১০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট জঙ্গাকীর্ণ এ বাড়িটির উপরে কতিপয় স্থানীয় লোকজন বসতি স্থাপন করে বসবাস করে। এ বাড়িতে বিদ্যমান উচুঁ টিবিটি পার্শ্ববতী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১.৮০ মিটার উচুঁ। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ বাড়িতে ব্যবহৃত ফুল ও লতাপাতার অলংকৃত পোড়ামাটির ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আলোকচিত্র ও তথ্য সংগ্রহে মহিদুল ইসলাম, শাহিন আলম ও চাইথোয়াই মারমা । তথ্যসূত্র: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নড়াইল জেলার জরিপ প্রতিবেদন।
রাজা কেশব রায়ের বসতভিটা নড়াইল জেলায় অবস্থিত। এখানে অবস্থিত প্রাসাদটি যুবরাজ কেশব রায়ের শাসনকালে নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি একজন মহান রাজা ছিলেন যিনি গরিবদের সহায়তা করতেন। রাজপ্রাসাদের নকশা আপনাকে অবাক করবে। প্রাসাদের অভ্যন্তরীণ নকশাও বেশ নজরকাড়া এবং এখানে বেশ দামী আসবাব রয়েছে। বিশাল এলাকার উপর অবস্থিত রাজপ্রাসাদের চারপাশে প্রচুর গাছ এবং বসার জন্য স্থান রয়েছে। এখানকার প্রাচীন বৃক্ষগুলো দেখে সেগুলোর সৌন্দর্য শুধু উপভোগই করবেন না বরং গাছগুলোর বয়স সম্পর্কেও ধারনা পেয়ে যাবেন।
খুলনা বিভাগে অবস্থিত নড়াইল জেলার উত্তরে মাগুরা জেলা, দক্ষিনে খুলনা জেলা, পূর্বে ফরিদপুর জেলা এবং গোপালগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে যশোর জেলা অবস্থিত। নড়াইল জেলার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ মধুমতি নদী, নবগঙ্গা নদী, ভৈরব নদী, চিত্রা নদী, এবং কাজলা নদী। ঢাকা থেকে সড়কপথে বাসে করে প্রায় ৫ ঘণ্টায় আপনি নড়াইলে পৌছাতে পারবেন। সড়কের অবস্থা খুবই ভাল হওয়ায় যাত্রাপথে আপনার মোটেও কষ্ট হবে না বরং আপনি পুরো যাত্রাপথই উপভোগ করবেন। ঢাকা ছাড়াও খুলনা অথবা রাজশাহী থেকেও আপনি নড়াইলে আসতে পারবেন তবে এই ক্ষেত্রে আপনার সময় বেশি লাগবে।
Leave a Reply