রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি নির্ধারণ করেন রাজনৈতিক নেতারা। আর সেই নীতি বাস্তবায়ন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাজনীতিবিদদের দ্বারা এ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। এদের বলা হয় আমলা। ‘আমলা’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ- আদেশ পালন ও বাস্তবায়ন। সেই সূত্রে বলা যায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের আদেশ পালন ও বাস্তবায়ন করেন। সরকারকে যদি একটি গতিশীল যান হিসেবে কল্পনা করা হয়, তাহলে প্রশাসনকে এর ইঞ্জিন বলা যায়। আমলাতন্ত্র ছাড়া প্রশাসন চালানো সম্ভব নয়, এটা মানতে হবে।
দেশ পরিচালনা করার জন্য সংসদ ও সরকার সাংবিধানিকভাবে যেসব আইন প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার বড় একটি অংশ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব পড়ে এই আমলাদের ওপর। তবে সে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ রাজনীতিবিদদের হাতে রাখতে হয়। এটাই নিয়ম। যেমন ইঞ্জিন গাড়িকে টেনে নিয়ে গেলেও এর নিয়ন্ত্রণ থাকে চালকের হাতে।
সম্প্রতি প্রশাসন ও সরকারে সেই আমলাদের অতি খবরদারি ও কর্তৃত্ববাদী ভূমিকা রাজনীতিবিদদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনজন সিনিয়র এমপি এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। খবরটি বেশ গুরুত্ব সহকারে গণমাধ্যমে এসেছে। করোনাকালে সরকারি ত্রাণ বিতরণে এমপিদের এড়িয়ে আমলাদের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সাংসদেরা সচিবদের ওপরে। এটা খেয়াল রাখতে হবে। …এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেয়। অথচ প্রশাসনিক যারা কর্মকর্তা, তারা কিন্তু যায়ইনি। যাকে দেওয়া হয়েছে, তিনি এখন পর্যন্ত যাননি। এটা কিন্তু ঠিক না। একটা রাজনৈতিক সরকার এবং রাজনীতিবিদদের যে কর্তৃত্ব কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’ তাকে সমর্থন জানিয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘দেশে এখন রাজনীতি নেই। দেশ রাজনীতিশূন্য। রাজনীতির নামে এখন পালাগান অনুষ্ঠান হয়।’ তিনি এও বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করে নিচ্ছেন। দেশ চালাচ্ছেন জগৎ শেঠরা। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।’ সংসদের সিনিয়র সদস্যদের এই বক্তব্য বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকারের লাগাম কেন আমলাদের হাতে চলে গেল তা নিয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গও সামনে আসছে।
সাম্প্রতিক এ ঘটনার প্রধান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনা ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রী এমপিসহ মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের তেমন কোন ভূমিকা রাখা হয়নি৷ অনেকটা নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে৷ বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের ক্ষোভেরও মূল কারণও এটা। তিনি তার জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্বে গাফিলতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তবে তোফায়েল আহমেদ একটু রেখে-ঢেকে বললেও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ আরও স্পষ্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সচিবদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন। আর এমপি সাহেবরা পাশাপাশি বসে থাকেন দূরে। এরপর বলে ডিসি সাব, আমি একটু কথা বলব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এই হচ্ছে রাজনীতিবিদদের অবস্থা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের সঙ্গে যখন কথা বলেন, তখন এমপিদের কোন দাম থাকে না।’
তোফায়েল আহমেদ, কাজী ফিরোজ রশীদ আসলে ঠিকই বলেছেন- আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা এখন ক্রমেই গৌণ হয়ে উঠছেন। যেহেতু জনপ্রতিনিধিদের কাজগুলো করানো হচ্ছে আমলাদের দিয়ে সেহেতু রাজনীতির নিয়ন্ত্রণও এখন আমলাদের কাছে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। ভালো হোক, মন্দ হোক রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অন্যদিকে, আমলারা যেহেতু জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন ফলে সাধারণ মানুষ কোন কিছু জানতে জানতে পারছে না তারা কী করছেন, কী করছেন না৷ অনেক জায়গায় এসব প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করে ফেইসবুকে আত্মপ্রচারেই বেশি ব্যস্ত থাকছেন। বেশ অনেক জায়গাতেই ডিসি ও ইউএনওরা কাজের কাজ না করেই ব্যক্তিগত সাফল্য প্রচার করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ফেইসবুকে পেজে ত্রাণ কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও প্রতিনিয়ত প্রচার করেছেন বলেও খবর এসেছে। এই নিয়ে এমপিদের ভেতরে যেমন অসন্তোষ রয়েছে তেমনই রয়েছে সাধারণ মানুষের ভেতরেও।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সরকার করোনাসংক্রান্ত কার্যাবলি সমন্বয়ের জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে। সে কাজ তদারকির জন্য দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেহেতু সারাবছর জনগণের সঙ্গে থাকেন, তাদের ভালো-মন্দের খবরও তারাই বেশি জানেন। অথচ, তাদেরকে কোন দায়িত্বই দেওয়া হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতিবিদদের গুরুত্ব আগের যেকোন সময়ের চেয়ে কমেছে।
অন্যদিকে, দায়িত্ব পেয়ে সচিবরা এমন কিছু করছেন অনেকক্ষেত্রেই যা মন্ত্রী-এমপিদের ‘ইগোতে’ লাগছে। পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে, কোথাও কোথাও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে স্থানীয় এমপিকে করেছেন বিশেষ অতিথি। এগুলো ঠিক হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নও আসছে। কারণ, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী এমপিরা সচিবের ঊর্ধ্বে। আবার অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অবহিত না করেই নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ফলে দেখা গেছে, সচিবকে সংসদ সদস্যরা কোনভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না।
তাছাড়া কাজ তদারকির জন্য সচিব নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কিছু সংশয় রয়েছে। কারণ, এক মন্ত্রণালয়ের সচিব তার আওতাধীন মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে তো পারবেন না। ফলে এ ধরনের তদারকি একজন মন্ত্রী কিংবা এমপিদের অধিকার বা মর্যাদাকে যে ক্ষুণ্ন করে এটা নিয়েও কোন সংশয় নেই। তদুপরি, সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ে আমলাতন্ত্রের দাপটে প্রশাসনে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। এমন কথাও এখন শোনা যায়, অনেক সচিবই মন্ত্রীদের পর্যন্ত গুরুত্ব দেন না। সিদ্ধান্ত নেন নিজেদের মতো করে। মন্ত্রীরা অনেক কিছুই জানতে পারেন হয়ে যাওয়ার পর। এতে উপেক্ষিত মন্ত্রীরা দুঃখ করেন রাজনৈতিক মহলে।
একসময় আওয়ামী লীগের দিক থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, সে অভিযোগের তীর এখন আওয়ামী লীগের দিকেই। আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল, জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলেছিলেন। তার সময়ে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের তোষণ, পদলেহন করতে হয়েছে রাজনীতিবিদদের। এরশাদের এক দশকেও রাজনীতি করা কঠিনই হয়ে গিয়েছিল। দেশ চালাতেন সামরিক ও বেসামরিক আমলারা। বিএনপির এক যুগের শাসনামলেও আমলারা যথানিয়মে সরকারের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে ছিলেন। সেই সময়ের অনেক আমলার বিএনপি-জামায়াতের জোটপ্রীতির মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখন বিএনপির নেতারাও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে আমলানির্ভর সরকার বলে অভিহিত করে আসছে। বিএনপির আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পেছনে আমলাদের ব্যাপক সমর্থন ছিল। সে কারণে আমলারা সরকারের কাছ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, পাচ্ছে। এর পাশাপাশি রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে অপব্যবহার করার মাধ্যমে দুর্বল করছে।
ব্যাপারটি এখন এই পর্যায়ে চলে গেছে যে, সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের এমপিরাও সমস্বরে সরকারের প্রতি অভিযোগ তুলছেন- আমলাদের প্রতি অতি নির্ভরশীলতার কারণে দেশ রাজনীতিশূন্য হতে চলেছে আর রাজনীতিবিদেরা হয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাহীন। তবে এই যে আমলাতন্ত্রের দাপট- এখানে কি এমপি মন্ত্রীদের কোনো ব্যর্থতা নেই? নিশ্চয়ই আছে। রাজনীতিবিদদের নিজেদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই, যা আমলাদের মধ্যে আছে। তাদের এই ‘গৌণ’ হয়ে পড়ার জন্য তারা নিজেরাও কিন্তু কম দায়ী নয়।
তদুপরি, রাজনীতিকদের নিজেদের ভেতরকার অবস্থানে যে কতটা ফাটল ধরেছে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে সংসদে তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের পরপরই। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ করোনা মহামারী মোকাবিলায় ‘সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ায় সংসদ সদস্য ও রাজনীতিকদের মর্যাদা সুরক্ষিত হয়েছে’ মর্মে মতামত প্রকাশ করেছেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে।
মূলত রাজনীতিকদের মধ্যে বিদ্যমান এই বিভক্তিই আমলাদের কর্তৃত্ব করার সুযোগ করে দেয়। মন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী হলেও অনেক রাজনীতিক মন্ত্রীকেই দেখা যায় আমলাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে। আবার অনেক এমপি আছেন যারা তাদের মর্যাদা সম্বন্ধে এখনও পুরোপুরি ওয়াকিবহাল না। এর কারণ তিনি বা তারা রাজনীতি করে উঠে আসেননি। অপ্রত্যাশিতভাবে এমপি হওয়ায় আমলাদের কাছে নতজানু হয়ে থাকছেন। এতে সরকারের কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনই আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দূরত্বও বাড়ছে।
তবে আমলাদের এখন নিজেদের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। নিজেদের ‘আচরণ’ বদলানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আমলাদের সম্পর্কে দার্শনিক কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, ‘নিজেদের নাককেই তারা কর্তব্যের অস্ত্র মনে করেন এবং সব ব্যাপারেই সেইসব অস্ত্রের প্রয়োগ ঘটান।’ আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তারদের ক্ষেত্রেও বারবার সেটিই ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা ভোগ করেন, অনেকেই প্রকাশ্যেই ক্ষমতার দাপট দেখান। তারা সব সময় আলাদা গুরুত্ব চান, চান বাড়তি মর্যাদা।
এই বাড়তি মর্যাদা ও মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে তাদের অনেকেই প্রায়ই সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলেন। এইতো মাত্র কিছুদিন আগে বগুড়ার আদমদীঘিতে ছাগল ফুলগাছ খাওয়ায় ইউএনও সীমা শারমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছাগলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে হাস্যরসের খোরাক জুগিয়েছিলেন। অন্যদিকে, নারায়নগঞ্জে সরকারি তথ্যসেবা নম্বর ৩৩৩ -এ কল করে খাদ্যসহায়তা চাওয়ায় অসহায় বৃদ্ধকে শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন ইউএনও আরিফা জহুরা। ওইসময় বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দিনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দিতে বাধ্য করেন তিনি। এমন ঘটনা অহরহই এখন গণমাধ্যমে আসছে। বছর দুয়েক আগে মাদারীপুরের কাঁঠালিয়া ঘাটে যুগ্মসচিব আবদুস সবুর মণ্ডল নদী পার হবেন বলে তিন ঘণ্টা ফেরি আটকে রাখার ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা কিশোরের মৃত্যুতে ওইসময়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল সারাদেশে।
অথচ এগুলো হওয়ার কথা নয়। জনসেবা, জনকল্যাণ, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করাই যাদের কাজ হওয়া উচিত তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনার সুযোগ আছে। আমরা জানি, অগণতান্ত্রিক সরকার আমলানির্ভর হয়। আর সুষ্ঠু গণতন্ত্রের স্বার্থেই প্রয়োজন দক্ষ আমলাতন্ত্র। সেই আমলাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসাবে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন, এমনটাই কাম্য। অন্যথায় প্রশাসন ভেঙে পড়তে পারে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
লেখক-সাংবাদিক, কলামিস্ট
Leave a Reply