ইন্জিনিয়ার একেএম রেজাউল করিম
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ ঘোষণা দিয়েছেন ২১ জুন থেকে সব ধরনের রেসট্রিকশন্স তুলে দিয়ে UK কে স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করা হবে। তবে তার জন্যে প্রয়োজন ধাপে ধাপে লক ডাউন সহ বিভিন্ন রেসট্রিকশন্স তুলে নেয়া যাতে হঠাৎ আবার ইনফ্যাকশন রেইট বেড়ে না যায়। এজন্যে যে ধাপগুলো ঠিক করা হয়েছে তা নিম্নরূপ।
উল্লেখ্য এই তারিখগুলো প্রস্তাবিত। পরিস্থিতি বিবেচনায় এগুলো পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া এগুলো সবই ইংল্যান্ডের জন্যে। স্কটল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলস পরে তাদের তারিখগুলো ঘোষণা করবে। নিকট অতীতে দেখা গিয়েছে সেই তারিখগুলো বেশ কাছাকাছিই হয়ে থাকে।
৮ মার্চ থেকে স্কুল খুলে দেয়া হবে।
২৯ মার্চ থেকে বাহিরে ছয় জন পর্যন্ত অথবা দুই পরিবার একত্র হতে পারবে।
২৯ মার্চ থেকে সব ধরনের আউটডোর খেলাধুলা শুরু হতে পারবে। প্রিমিয়ার লিগ অথবা সিক্স নেশনসের মত এলিট খেলাগুলো এখনও চলছে কিন্তু এই তারিখের পর সব ধরনের টুর্নামেন্ট শুরু হতে পারবে।
১২ এপ্রিল থেকে শপিং সেন্টার, জিম, হেয়ারড্রেসার সহ কফিশপ এবং এ ধরনের দোকানগুলো খুলে দেয়া হবে।
১৭ মে থেকে অধিকাংশ রেসট্রিকশন্স তুলে নেয়া হবে সর্বোচ্চ ৩০ জনের জন্যে।
২১ জুন থেকে সম্পূর্ণ রূপে লক ডাউন এবং রেসট্রিকশন্স তুলে দেয়া হবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে UK কী করে লক ডাউন থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক হবার পথে হাঁটছে।
পৃথিবীর অন্যন্য অনেক দেশের তুলনায় UK ভ্যাক্সিন দিয়ে পরিস্থিতি বেশ স্বাভাবিক করে তোলার পর্যায়ে চলে এসেছে। অনেকেই শুনে অবাক হবেন, গত সপ্তাহে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকাররা লক্ষ্য করেছেন লন্ডনের ইনফ্যাকশন রেইট ৮০ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত সপ্তাহেই লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড, বাস এবং অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কোন রকম করোনা ভাইরাসের ট্রেস পাওয়া যায় নি।
শুধু ইসরাইল এবং আরব আমিরাত UK এর চেয়ে এগিয়ে আছে ভ্যাক্সিন দেয়ার ক্ষেত্রে। ইতোমধ্যে UK ১৫ মিলিয়ন নাগরিককে ভ্যাক্সিন দিয়ে ফেলেছে। ৬৫ মিলিয়নের দেশের নাগরিকদের কত দ্রুত ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রতি দিনই আলোচনা চলছে। বেশ কিছু জায়গায় ২৪ ঘণ্টা ভ্যাক্সিন দেয়া চলছে UK তে।
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভ্যাক্সিন দেয়া হবে বলে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে যা বেশ ভালো ভাবেই কার্যকর করে চলেছে NHS। বিবিসি আরো জানিয়েছে আক্রান্ত হবার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা থাকা চারটা গ্রুপকে ভ্যাক্সিন দিয়ে ফেলায় হসপিটালগুলোতে রোগীর সংখ্যা ব্যাপক ভাবে কমে এসেছে।
ইনশাআল্লাহ , আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে জীবন এবং জীবিকা – সেই দুয়া আমরা সবসময় করি মহান আল্লাহর কাছে।
Leave a Reply