সোহরাওয়ার্দীঃ
নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালালদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে।দালালদের তৎপরতার স্থিরচিত্র সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক গনজাগরন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক আলমগীর ভুইয়া সবুজের উপড় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বন্দর থানার একাধিক মামলার আসামী,নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কুখ্যাত দালাল খন্দকার আজমল (বাবু) ও তার সহোদর দুই ভাই মোঃ রিয়াদ, মোঃ শুভ,মোঃ রিফাত, মোঃ শাওন সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জন দালাল।মুলত তারাই নিয়ন্ত্রন করেন নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ।নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফতুল্লা থানাধীন রঘুনাথপুর (সাইন বোর্ড) এলাকায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর বন্দর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ১০/১২ জন কে সাথে নিয়ে প্রতিদিন সেখানে এসে মহড়া দেয় আজমল ওরফে বাবু ও তার ছোট ভাই রিয়াদ,শুভ গং।তারাই নাকি বর্তমানে নিয়ন্ত্রন করছেন এ অফিসের সব দালালদের বলে জানান স্থানীয়রা।তার মুল কাজ হচ্ছে এসব অপকর্ম নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ও মামলার ভয় দেখিয়ে অন্যান্য দালালদের কাছ থেকে সপ্তাহে ১০০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা।এ সংবাদ পাওয়ার পর সেখানে সংবাদ ও স্থির চিত্র সংগ্রহ করতে যান দৈনিক গনজাগরন পত্রিকার সাংবাদিক আলমগীর ভুইয়া সবুজ।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর হয়রানি ও ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশে পাসপোর্ট সরবরাহের নানা উদ্যোগ নিলেও পদে পদে বাধা রয়েই গেছে। এ ক্ষেত্রে দালাল চক্র বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি ফির দ্বিগুণ নিয়ে ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট দিচ্ছে এ চক্র। পাসপোর্ট পেতে গ্রাহক ভেরিফিকেশন বা পুলিশের তদন্তের সময় বড় হয়রানির শিকার হন। টাকা ছাড়া কোনো পাসপোর্টের দরখাস্ত ও ভেরিফিকেশন হয় না বলে পাসপোর্ট পাওয়া অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন। সত্যায়নের নামেও হয়রানি করা হয়। নরায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেই চোখে পড়বে দালালদের তৎপরতা।নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশের ভবন গুলোতে রয়েছে এসব দালালদের নিজস্ব অফিস। লোক ধরার জন্য মূল গেটের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা।নতুন ভবনের সামনেই চলেছে টাকাপয়সার লেনদেন। সবই হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে। খন্দকার আজমল (বাবু) নামের এক দালাল এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফাইল জমা’ করা লাগবে কি না। ‘কত টাকা দিতে হবে?’পাসপোর্টের সকল তাঁরা ভেতরের কাজ দ্রুত করে দেবেন এজন্য পাসপোর্ট প্রতি ৭০০০ টাকা দাবী করেন । খন্দকার আজমল (বাবু) বলেন, ‘ফাইল জমা করার পর আমরা অফিসের স্টাফদের ফোন দিয়া বাইরে আনি। এইভাবে করতে হইলে ৭০০০ টাকা লাগব।আজমল ওরফে বাবু বহুবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও ছাড়া পেয়ে আবার ফিরে আসেন এসব অবৈধ দালালী ব্যাবসায়।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রায়ই তাঁরা অভিযান চালান দালালদের বিরুদ্ধে। ছাড়া পেয়ে দালালেরা আবার চলে আসে। অফিসের কেউ জড়িত থাকার বিষয়ে বলেন, তাঁরাও চাচ্ছেন অফিসের কে জড়িত তা যেন কেউ ধরিয়ে দেন।
Leave a Reply