আমিনুল ইসলাম
রোমান্স আর প্রতিবাদের মধুর মিলনের আলিঙ্গনের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। বোহেমীয় স্রোতের পাদদেশে ভালোবাসা আর দ্রোহের এক আকণ্ঠ হিমালয়; এক চিরসবুজ গহীন তেপান্তরের অপর নামই রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। যাকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের দ্রোহ এবং প্রেমের কবি। তিনি তারুণ্যের কবি। কবিতায় অন্তর বাজিয়ে দরদের সুর সৃষ্টির কারিগর ছিলেন তিনি। স্বল্প সময়ের জীবনে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা ও গান। তিনি প্রস্থান করেছেন কিন্তু বেঁচে আছেন তার কর্মে। তারুণ্যের বুকে বেঁচে থাকবেন হাজার বছর ধরে। আজ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ এর জন্মদিন।
রুদ্র শুধু কবিতা লিখতেন নি, কবিতার ভেতরে যাপন করতেন। কবিতা যাপনের জন্য যতটা নিমগ্নতা দরকার তিনি তা কবিতায় ঢেলে দিয়েছিলেন। তার ভেতরের শিল্পীটার ছটফটানি, ডানা-ঝাপটানো তার কবিতায় পাওয়া যায়। একজন পুরাদস্তুর কবির মধ্যে যতটা সামাজিক, রাজনৈতিক দায়ভার থাকা দরকার তার মধ্যে সেই দায়ভার ছিল। আর ছিল শিল্পের অহংকারে পারিপার্শ্বিকের মাথা নত না করার দুঃসাহস। তিনি হলেন কবিতার জ্বলন্ত নক্ষত্র। যে নক্ষত্র বাংলা সাহিত্যে আলো ছড়িয়ে যাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী।সেই আলোয় আলোকিত হবে শতাব্দীর নতুন প্রজন্ম।
লেখক:✒ কলম শ্রমিক
Leave a Reply