সারাদিন ডেস্কঃ
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ২য় জানাজা শেষে তাকে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা ও অন্যান্যরা মোহাম্মদ নাসিমকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমণ্ডীর সোবহানবাগ মসজিদে প্রথম এবং ১০টা ৩৫ মিনিটে বনানীতে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। ৫ জুন ভোররাতে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা: কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল তাকে।
এরইমধ্যে শনিবার সকাল ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তার বাবা এম মনসুর আলীর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম একাধারে বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র ছিলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন নাসিম। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
Leave a Reply