স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ।।
স্বরূপকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের ৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সেহাঙ্গল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, তাকিবুর রহমান দীপ্ত (২০), সানোয়ার হোসেন সিকদার (৫৫), সজিব (১৮), মুক্তা (৩৫), রাবিক (১৮), একরাম(১৯)।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। এঘটনায় গুরুতর আহত দীপ্ত’র পিতা এস এম সেলিমুজ্জামান বাদী হয়ে ৯ জনকে নামীয় ও অজ্ঞতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সরেজমিনে এলাকাবাসী জানায়, সাবেক বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ ক্যাডার বছর দুয়েক পূর্বে সাবেক এমপির মাধ্যমে আওয়ামীলীগে যোগদান করে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই এলাকায় চরম গ্রুপিং চলছে। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ সালামের ছেলে শেখ সাদীর সঙ্গে শহীদ মিয়ার ছেলে মুবিনের দন্দ হয়।
এর দুদিন পর পাল্টা মুবিন ও তার দলবল শেখ সাদী ও তার সংগীদের মারপিট করে। এঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা খান বাড়ীতে শালিশ বৈঠকে বসে। একই সময় তাকিবুর রহমান দীপ্ত গ্রামীন টাওয়ারের কাছে মহিউদ্দিন খন্দকারের বাড়ীর সামনে পৌছিলে বিপরিত দিক থেকে সাবেক বিএনপি ক্যাডার (আওয়ামীলীগে যোগদানকারী) ফেরদৌসের নেতৃত্বে আসামীরা দীপ্তকে এলাপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ সময় মুক্তা বেগম ও সজিব দীপ্তকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে যখম করা হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য চেষ্টার কালে মিজানুর রহমান তার ছেলে ইমরান, একরামসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পুনরায় আক্রমন করে আটো রিকসায় থাকা আহতদের রামদাও দিয়ে কোপাতে থাকে এতে সানোয়ার হোসেন সিকদার, রাবিক আহত হয় এসময় দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে অপর পক্ষের মিজানুর রহমানের ছেলে একরাম আহত হয়।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামী মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অণ্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply