আদিল সাদের কলাম,নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ইঞ্জিনিয়ার অতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পদবী । যেকেউ যেকোন পর্যায়ের ডিগ্রী নিয়ে নামের আগে এই এই শব্দটি বসাতে পারবেন না কিংবা নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার বলে পরিচয় দিতে পারে না । কিন্তু আমাদের দেশে এর যত্রতত্র ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার তো গলির মোড়ের ওয়ার্কশপের ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী কিংবা মোটর মেকানিক সবাই ব্যবহার করে । একজন ইঞ্জিনিয়ার বোধহয় নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে কিছুটা হলেও লজ্জা পাবেন।একজন প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ার আমাদের দেশে নিজেকে প্রকৌশলী বলতে লজ্জা পায় এই কারনে, তারা নামের আগে প্রকৌশলী লাগাতে ব্যস্ত। আর্ন্তজাতিকভাবে প্রতিটা দেশেই প্রকৌশলী লিখতে কিছু নিয়ম অনুসরন করে। শুধু ডিপ্লোমা পাশ করেই আপনি নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে পারবেন না।এই অধিকার আপনার রাষ্ট্র আপনাকে দেয় নি।আপনি প্রকৌশলী লিখতে হলে আপনাকে রাষ্ট্রের নিয়ম মানতে হবে।কারন আপনি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক।যাইহোক,আমিও চিন্তা করে দেখলাম আসলেই প্রকৌশলী বললে শব্দটা কিছুটা হলেও ভারী হয় । কিন্তু বিষয়টা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে অনেকক্ষেত্রে একজন ইঞ্জিনিয়ার।তাই নিয়ম অনুসরন করুন, পরে যোগ্যতা অর্জন করে প্রকৌশলী হোন।
চাইলেও নিজের নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার পদবী লাগাতে পারেন না ।
আসুন প্রথমেই দেখে নিই কারা কারা নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেনঃ
১/ আইইবি (ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ) স্বীকৃত সরকারী বা বেসরকারি বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী থাকে ।
অথবা
২/ স্বীকৃত বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমানের ডিগ্রী থাকে ।
অথবা
৩/ এএমআইই (সেকশন এ এবং বি) পাশ থাকে ।
উপরোক্ত ডিগ্রীধারীরা নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন তবে নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না ।
আসুন দেখে নিই কারা কারা নিজের নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার পদবী ব্যবহার করতে পারেনঃ
১/ আইইবি স্বীকৃত সরকারী বা বেসরকারি বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী থাকে এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ
(আইইবি)-র এসোসিয়েট মেম্বার হিসেবে নিবন্ধিত হন।
অথবা
২/ স্বীকৃত বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমানের ডিগ্রী থাকে এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-র এসোসিয়েট মেম্বার হিসেবে নিবন্ধিত হন।
অথবা,
৩/ এএমআইই (সেকশন এ এবং বি) পাশ থাকে এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-র এসোসিয়েট মেম্বার হিসেবে নিবন্ধিত হন ।
এর বাইরে কোনও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রীধারী কেউ নামের আগে কিংবা নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না । তবে কিছু
ডিপ্লোমাধারী নিজেকে “ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার” হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন।
##আসুন দেখে নিই তারা কারাঃ
১/ স্বীকৃত কোন পলিটেকনিক বা কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা থাকে ।
এবং
২/ ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-থেকে নিবন্ধিত হন।
২৯ (১) ধারা অনুযায়ী ভুয়া পদবী ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ আইনের অধীনে নিবন্ধনকৃত কোনো ব্যক্তি এমন কোনো নাম, পদবী, বিবরণ ও প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে মর্মে কেউ মনে করতে পারে। এই সকল ব্যক্তিরা ব্যতিত অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে প্রকৌশলী পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি এ উপধারা লংঘন করলে তাকে ওই একই দণ্ড পেতে হবে এবং অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রত্যেকবার তার পুনরাবৃত্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন ।
তথ্যবহুল সময়োপযোগী লেখা।
ধন্যবাদ কবি আদিল সাদ।