4 June- 2023 ।। ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে নিত্যপণ্যের দামে উর্ধ্বগতি, অস্বস্তিতে ক্রেতারা

সৈয়দ নূর-ই আলম,বরগুনা প্রতিনিধি:
করোনা পরিস্থিতিসহ পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে বরগুনার বেতাগীতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। সীমিত সরবরাহসহ পরিবহন খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে বেড়েছে চাল, আদাসহ , ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, অনেক পণ্য সামগ্রীর দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অনাকাঙ্খিতভাবে মূল্য বেড়ে বাজার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠায় বিপাকে পড়ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। সবচেয়ে অস্থিতিশীল হয়েছে চালের বাজার,আদাসহ মসলার বাজার।
একদল অসাধু মজুদদার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল করছে এমন অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। অধিক মুনাফা লাভের আশায় এসব ব্যবসায়ী চালসহ নিত্যপণ্যের মজুদ বাড়াচ্ছে তাদের গুদামে। এদিকে দোকানে মূল্যতালিকা প্রদর্শনসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও থেমে নেই এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।
সিন্ডিকেট করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে একটি সূত্র। তাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ঢাকা থেকে মাল এনে বাজারে সরবরাহ করছেন। তারাই ব্যবসায়ীদের মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। অপরদিকে একাধিক অসাধু ব্যবসায়ী ভিজিডি, ভিজিএফ, ফেয়ার প্রাইস ও এমএস’র চাল ও খাদ্য গুদামসহ অসৎ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গোপন কানেকশনে মালামাল ক্রয় করেছেন। এসব ব্যবসায়ী চাল গুদামজাত করে অধিক মুনাফার আশায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন তারা।
চাল ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ পূর্বে জেলার চালের বাজার প্রতি সাদা মোটা ছিল ১৭শ, বর্তমানে ২২শ। বস্তা নূরজাহান টেপু’র মূল্য ছিল ১৪৫০, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকায়। ২৩’শ টাকার দাদা মিনিকেট বর্তমানে ২৯’শ টাকা। বালাম-২৮ ছিল ১৮’শ, বর্তমানে ২৪’শ। কাজল মোটা ছিল ১২৫০, বর্তমানে ১৯শ। ১৫’শ টাকার স্বর্ণ মুশুরী বর্তমানে ২২’শ টাকা। ২১’শ টাকার পাইজাম চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৪ শত টাকায়। বস্তাপ্রতি চালের এমন মূল্যবৃদ্ধির ফলে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতিকেজি চালের মূল্য বেড়েছে ১০-১৬ টাকা।
একাধিক চাল ব্যবসায়ীসহ মিল মালিকদের দাবি, সরকার মাঠ পর্যায়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের ফলে মিল মালিকদের কাছে চালের মজুদ নেই। তাছাড়া এ অঞ্চলের বাজারে বেশির ভাগ চাল আসে ঢাকা ও দিনাজপুর থেকে। লাগাতার লকডাউনে সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি চালের মূল্য বেড়েছে ৫০০-৭০০ টাকা হারে। খুঁচরা বাজারে যা আরও বেশি। তবে বোঁরো ধানের চাল বাজারে এলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এমন আশাও তাদের।
মূল্য বেড়েছে মুদি মালের বাজারেও। এক সপ্তাহ পূর্বে প্রতি কেজি ১২০ টাকার আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় রমজান মাসে বেশি ব্যবহৃত পন্যসামগ্রীর মধ্যে আদার দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে । ৩৫ টাকার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি ১৬ টাকার আলু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা। ৭৫ টাকার প্রতি কেজি রসুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। প্রতি কেজি ছোলাবুট ছিল ৭০ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি মসুর ডাল ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে প্রকারভেদে ১২০ টাকা পর্যন্ত টাকা। ৯০ টাকার সয়াবিন তেল বর্তমানে ১০০ টাকা। ৫৫ টাকার চিনি বর্তমানে ৮৫ টাকা।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাজিব আহসান বলেন, প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানোসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। রমজান মাসে উপজেলা পৌর বাজার সহ স্থানীয় বাজারগুলোতে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করে দেওয়া হবে।

Sharing is caring!





More News Of This Category


বিজ্ঞাপন


প্রতিষ্ঠাতা :মোঃ মোস্তফা কামাল
◑উপদেষ্টা মহোদয়➤ সোহেল সানি
◑নজরুল ইসলাম মিঠু ◑তারিকুল ইসলাম মাসুম ◑এডভোকেট হুমায়ুন কবির(আইন উপদেষ্টা)
প্রধান সম্পাদক : মোঃ ওমর ফারুক জালাল

সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম(আমিন মোস্তফা)

নির্বাহী সম্পাদক: শফি মাহমুদ

বার্তা ও বানিজ্যিক সম্পাদক: বজলুর রহমান
প্রধান প্রতিবেদকঃ লাভনী আক্তার

ইমেইল:ajsaradin24@gmail.com

টেলিফোন : +8802-57160934

মোবাইল:+8801725-484563, বার্তা সম্পাদক+8801716-414756
টপ