গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, আজ আমার জীবনের একটি আনন্দের দিন। যে মানুষটি জম্ম না হলে আমরা এই দেশটাকে পেতাম না। সেই মানুষটিকে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে অবজ্ঞায় ও অবহেলা রেখেছি। ১৫ আগস্ট একটি চেয়ার এনে অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি নামিয়ে সেখানে ফুল দিয়ে দায়সারা ভাবে কিছুক্ষণের জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবার তা সরিয়ে ফেলা হতো।
দীর্ঘদিন অনেক অফিসেও বঙ্গবন্ধুর ছবিও ছিলো না। আমি জানি এতে আপনারা যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতেছিলো। কারণ যে মানুষটি ডাকে সাড়া দিয়ে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর নাজিরপুরে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যূরাল নির্মাণের উদ্যোগ নেই। মুজিব শতবর্ষে আজ সেটা বাস্তবায়ন এবং উদ্ভোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত।
আজ সকালে উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর এ ম্যূরালটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে যুবলীগ নেতা এসএম রোকনুজ্জামানের পরিচালনায় এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমী মোহাম্মদ সায়েফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নাজিরপুর-পিরোজপুর মহাসড়ক, পিরোজপুর-স্বরুপকাঠী মহাসড়কেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হবে। এছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নাজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা অফিসে টাঙ্গানো ছবি নামিয়ে তাতে ফুল দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম। অনেক স্বপ্ন ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ধরণের একটি প্রতিকৃতি নাজিরপুরে নির্মাণ করার। আওয়ামী লীগের গত দশ বছরে বার বার উদ্যোগ নিয়েও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আজ মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি আজ সে স্বপ্ন পূরণ করছেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী, পিরোজপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায়, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া প্রমূখ।
Leave a Reply