ডেস্ক রিপোর্টঃ
পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল(সাঈদুর রহমান) এর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য, অবৈধভাবে সেতু ও ফেরি ইজারা প্রদান ও টেন্ডার-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে আদালতে মামলা করা হবে।
সাবেক এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলায় নিয়োগ-বাণিজ্য, অবৈধভাবে সেতু ও ফেরি ইজারা প্রদান এবং টেন্ডার-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এদিকে, এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান কাজে সহযোগিতার জন্য রেকর্ডপত্র তলব করা হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত নোটিশে তাকে আজ ১১ নভেম্বর আয়কর নথি সার্কেল-৬ পিরোজপুর থেকে শুরু করে হালনাগাদ রিটার্নের সত্যায়িত ফটোকপি জরুরি ভিত্তিতে দুদকে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পিরোজপুর সার্কেল-৬-এর উপ-কর কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিগত এমপি নির্বাচনের সময় নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করা হয়েছিল, তার সত্যায়িত ফটোকপি গত ৪ নভেম্বর সরবরাহ করতে বলা হয়েছিল।
অভিযোগে জানা যায়, এমপি থাকাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, পিয়ন, নাইটগার্ড, দপ্তরি, স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন নিয়োগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে ও তার স্ত্রী বেগম লায়লা ইরাদ বিপুল পরিমাণ উৎকোচ গ্রহণ করতেন। টিআর, জিআর, কাবিখা প্রকল্প থেকেও মোট অঙ্কের ভাগ নিতেন তিনি। ঘাট ও বাজার ইজারা থেকে তিনি কমিশন নিতেন। দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অন্যান্য কারণে ইমেজ সংকট হওয়ায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তার পরিবর্তে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। গত ১৯ মে দুদক থেকে তাকে নোটিশ দিয়ে ২৩ মে কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
Leave a Reply