নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর দিনে রাজধানীর পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মজলুম জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ঢাকা ও টাঙ্গাইলে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
টাঙ্গাইলে স্থানীয় প্রশাসন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি করছে।
১৮৮০ সালে ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম নেয়া আব্দুল হামিদ খান জীবনের প্রায় পুরো সময় কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখান থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের। কৈশোর-যৌবনেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম লীগ ভেঙে এর প্রগতিশীল নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন মওলানা ভাসানী। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় ছিলেন উচ্চকণ্ঠ।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের স্বাধিকার-স্বাধীনতাসহ যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি রেখেছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের স্বাধিকার-স্বাধীনতাসহ যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি রেখেছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।
দেশের শোষিত-বঞ্চিত, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য নিজের সারা জীবনভরই আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন মওলানা ভাসানী। যে কারণে মজলুম জননেতা হিসেবে পরিচিতি পান আব্দুল হামিদ খান আজো মানুষের মনে ঠাঁই করে আছেন। থাকবেন আরো যুগ যুগ ধরে।
Leave a Reply