পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, কোন ব্যক্তি বা ভাইয়ের রাজনীতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আলাদা আলাদা ভাবে কোন ব্যক্তিলীগ করা যাবে না। এমনকি আমারও না। দল করতে হলে সকলকে এক প্লাটফরমে এসে করতে হবে। আমাদের নেতা একজন তিনি হলেন শেখ হাসিনা, আর আর্দশ বঙ্গবন্ধুর। এটা মাথায় রেখেই দল করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারণ করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে দলকে তৃণমুল পর্যায়ে সুসংগঠিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদিন দেশের উন্নয়ন ও দল নিয়ে চিন্তা করেন। তারই প্রচেষ্টায় দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। এটা বিচ্যুত হলে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মায় কষ্ট পাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এ দল ক্ষমতায় আছে বলে আমরা আজ সাহস করে কথা বলতে পারছি। তাই মনে রাখতে হবে দলকে টিকিয়ে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলে দুর্নীতিবাজ, মাদক সেবী, স্বাধীনতা বিরোধী ও চরিত্রহীন কোন লোককে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দলে ঢুকাবেন না। তবে যদি কেহ দলের জন্য আর্শিবাদ হয় তাকে দলে স্থান দিবেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের গাফেলতিতে যেন এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত না হয়। এখন আর আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, এখন আমার কাজ সাধারণ মানুষসহ এলাকার উন্নয়ন করা। পিরোজপুরের উন্নয়নের জন্য আমি একটি টার্গেট নিয়েছি। আমি যদি টিআর হিসাবে আপনাদের জন্য ২-১ টন চাল দিতাম তা হলে এলাকার উন্নয়ন হতো না। ওই চাল দিয়ে আপনারা একটু হয়তো ভালো খেতেন। এখন নয় না-ই ভালো খান, তবে এলাকার উন্নয়ন তো হচ্ছে।
এ সময় তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, দল করে কেউ অহমিকা দেখাবেন না। দাম্বিকতা আল্লাহ পছন্দ করেন না। আমি নাজিরপুরসহ পিরোজপুর-১ আসনকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বানাতে চাই। দল করতে কাউকে আমার শ্লোগান দিতে হবে না। আমি এটা মোটেই ভালোবাসি না। ভালোবাসতে হবে বঙ্গবন্ধুকে, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও দলকে। তবেই হবেন আপনি দলের প্রকৃত কর্মী। দলকে শক্তিশালী করতে ব্যাক্তির শ্লোগান ভুলে যান।
এ সময় তিনি উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠনের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য নিঃস্ক্রীয় নেতাদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও কর্মঠ নেতাদের পদ দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার অনুরোধ করেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন খানের সভাপতিত্বে উপজেলা সদর ও শাখারীকাঠী ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার অমূল্য রঞ্জন হালদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেন খান, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতিয়ার, শাখারীকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.আল আামিন খানসহ ওই দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক বৃন্দ।
Leave a Reply