ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মুক্তি চেয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে সম্রাটকে ‘তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা’ ও ‘ঢাকার রাজপথের সাহসী বীর’ আখ্যা দিয়ে সম্রাট মুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে তার দ্রুত মুক্তি কামনা করা হয়েছে।
এই পরিষদে কে বা কারা রয়েছেন তা জানা যায়নি।
রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, ইস্কাটন, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, এফডিসি মোড়, তেজগাঁও সাতরাস্তা পুরানা পল্টন, সেগুন বাগিচা ও শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন দেয়ালে এই পোস্টার দেখা গেছে।
গত রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার সন্তানের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্যপান করা তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সে জেনে শুনে কখনো মদ পান করবে না। গ্রেপ্তারের দশদিন আগে থেকেই সম্রাট অফিসে ছিল না। অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিল। তার অফিসে মদ ইয়াবা পিস্তল কিছুই ছিল না।
আমাদের আশঙ্কা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না। ‘
সম্রাটের মা বলেছেন, তাঁর ছেলে অসুস্থ। সম্রাটের সুচিকিৎসার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ছাড়া ‘কোনো ভুলত্রুটি থাকলে’ তা ক্ষমা করে দিতেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ‘জীবন রক্ষা, উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির দাবিতে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সম্রাট বুকে ব্যথা অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে সিসিইউতে পাঠান। সিসিইউতে যাওয়ার পর সম্রাটকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
গত সেপ্টেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘ক্যাসিনোবিরোধী’ অভিযান শুরু হলে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নামটি আলোচিত হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। গত রোববার (৬ অক্টোবর) ভোররাতে যুবলীগ নেতা সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হককে কুমিল্লা থেকে আটক করে র্যাব। সম্রাটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার দুপুরে তাঁর কার্যালয় কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, ইয়াবা বড়ি, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার দুটি যন্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply