বিনেদন ডেস্কঃ
মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরি দায়ীত্ব গ্রহন করেন ২০১৭ সালের ২৪ মে। তাদের দায়ীত্বভার শেষ হল ২০১৯ সালে এসে। এই দুই বছরে শিল্পী সমিতির নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে বলেছেন চলচ্চিত্রের নবীন ও প্রবীণ শিল্পী ও চলচ্চিত্র বোদ্ধারা। এছাড়া সরোজমিনেও দেখা গেছে উন্নয়নের চিত্র। বিশেষ করে শিল্পী সমিতিরি অবকাঠামো উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো।
মাত্র দু বছর আগেও শিল্পী সমিতিতে বসার জায়গা পেতো না শিল্পীরা আয়েস করে গল্পতো দুরের কথা। মিশা জায়েদ খানের সু-চিন্তার কারণে আজ শিল্পীরা আয়েস করে গল্প করছেন, চা, কফি খাচ্ছেন, সোহাদ্য বিনিময় করছেন এ সবই হয়েছে মিশা জায়েদ খানের নেত্রীত্বে। তাদের এই উন্নয়ন স্বীকার করার কারণে দ্বীতিয় কোন প্যানেল দাড় করাতে পারেনি জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীও। নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক সিনিয়র অভিনেতা বলেছেন এই কথা।
শুধু এই সিনিয়র শিল্পী নয়, নবীন প্রায় সব শিল্পীই মিশা ও জায়েদ খানের প্যানেল জয়ে কাজ করছে। সঙ্গে রয়েছেন নায়করাজ পরিবারটিও। এখানেই শেষ নয়, মিশা ও জায়েদ খানের কাজের প্রশংসা করেছেন সুপারস্টার সোহেল রানা। তিনি কদিন আগেই গণমাধমে বলেছিলেন , মৌসুমীকে যেমন ভালোবাসি, তেমনই মিশা ও জায়েদকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করি। কাজেই বিশেষ কাউকেই সমর্থন বলা ঠিক হবে না। তবে গত ১৫-২০ বছরে যেসব কমিটি হয়েছে, আমিসহ তারা যা করতে পারিনি কিন্তু মিশা- জায়েদ তা করেছে।
লোক দেখানো হোক বা বাস্তবেই হোক তারা অনেক ভালো কাজ করেছে। এবারের কোরবানিতে ৫টি গরু কোরবানি দিয়ে সকলের মাঝে মাংস বিলিয়েছে। সবাইকে জানিয়েছে, যারাই গিয়েছেন প্রত্যেককেই মাংস দেয়া হয়েছে। আবার যারা কখনোই যাবে না এমন সিনিয়র শিল্পীদের সম্মান করার জন্য মাংসের সাথে কিছু দুধ চিনি উপহার পাঠিয়েছে। এটা শুধু সম্মানি।
কমিটি করার পর তারা আবার ১১ জন সিনিয়রদের দিয়ে আরেকটি কমিটি করিয়ে তারা বলেছে, আপনার যেটা বলবেন আমরা সেটাই করব। এই সম্মানটা তারা করেছে। চলচ্চিত্র এলাকায় যারা অনেক সময় আসেনি তাদেরকে তারা এনেছে। মন্ত্রী,পুলিশ ও র্যাবের প্রধানদের এনে তাদের সাথে চলচ্চিত্র জগতের গুড রিলেশন তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শিল্পীদের ইমেজ অনেক বাড়িয়েছে, যা আমরাও পারিনি।
যারা মারা গেছে তাদের বেশির ভাগ শিল্পীকে সবাই ভুলে গেছে, ওরা তাদের নামে কোরআন খতম, মিলাদ দোয়ার আয়োজন করেছে। কেউ অসুখ-বিসুখ হলে মিশা-জায়েদ পাগলের মত ছুটে যায়। মিশা-জায়েদ গত দুই বছর অনেক ভালো কাজ করেছে। সিনিয়রদের যেটুকু সম্মান তারা দেখিয়েছে, তাতে আমি খুশি, আমরা তো তার-ই কাঙ্গাল। সেটাই তারা দিয়েছে, দেখিয়েছে।
সোহেল রানার মতো মিশা, জায়েদের উন্নয়নের কথা সিনিয়র অনেক শিল্পীই একবাক্যে স্বীকার করেছেন।
উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে বিজনেস বাংলাদেশকে জায়েদ খান বলেন, আমরা দায়ীত্ব গ্রহন করি ২০১৭ সালে। এই দুই বছরে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে কিনা শিল্পী সমিতির তা আপনারাই, জানেন, চোখে দেখেছেন। আমরা অসুস্থ ও দুস্থ শিল্পীদের আর্থিক সহযোগিতা করেছি। আমাদের আন্দোলনের কারণে বিদেশি সিনেমা আনা বন্ধ হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের শিল্পী সমিতির বসার জায়গাটা কি বেহাল দশায় ছিল। আমার এর অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। আজ এখানে বসে সুন্দর পরিবেশে আড্ডা ও কফির ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া আপনারা জানেন, প্রয়াত শিল্পীদের স্বরণে আমরা দোয়া মাহফিল করে শিল্পীদের স্বরণ করছি। যা গণমাধ্যমে নায়ক সোহেল রানা গণমাধ্যমে ফলাও করে বলেছেন। এই ঈদে আমরা ৫টি গরু কেটে শিল্পীদের মাঝে বিতরণ করেছি। সবাই যাতে ভালোভাবে ঈদ করতে পারে এ জন্য অনেককে সেমাই, চিনি, কাপড়-চোপড় দিয়েছি। শিল্পীদের জন্য বিভিন্ন রকম ভাতা প্রদান করেছি। এফডিসিতে সু-বিশাল মসজিদ করছি, যেখানে আমাদের নারী শিল্পীরাও নামাজ আদায় করতে পারবেন। শিল্পীদের জন্য কিছু ফান্ড এখনো জমা আছে।
আমাদের কার্যক্রমের উপর আস্থা রেখেই বলছি পূর্ণ প্যানেল আমরা ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হব।
এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন। আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply